সীমাহীন দুর্ভোগের কারণ একটি অপরিচ্ছন্ন ড্রেন

# সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা

এ এইচ হিমালয় ঃ ১ থেকে ৫০ মিলিমিটার, কম-বেশি যাই হোক বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে খুলনা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ খানজাহান আলী সড়ক। বিশেষ করে সড়কের রয়্যাল মোড় থেকে পিটিআই মোড় পর্যন্ত উত্তর পাশের অংশের পুরোটাই থাকে পানির নিচে। ভারী বৃষ্টি হলে পানি আটকে থাকে ঘণ্টায় পর ঘণ্টা।
খানজাহান আলী সড়কের উত্তর পাশের প্রধান ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এই পানি ছড়িয়ে যায় নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ সড়ক, শান্তিধাম মোড়, বাইতিপাড়া, বড় মির্জাপুরসহ আশপাশের এলাকায়। বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দারা। আর নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খানজাহান আলী সড়কটি পানিতে ডুবে থাকায় দুর্ভোগে পড়েন সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী ৬টি ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষ।
সড়ক ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ খানজাহান আলী সড়কের উত্তর পাশের ড্রেন। নগরীর ডাকবাংলো মোড় থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, পিকচার প্যালেস মোড় থেকে সিটি কলেজ, নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৯৫ ভাগ পানি নিষ্কাশন হয় এই ড্রেন থেকে। ড্রেনের বিভিন্ন অংশে ভাঙা স্লাব থেকে আবর্জনা পড়ে ড্রেনটি অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে।
দেখা গেছে, বাসাবাড়ির গৃহস্থালী বর্জ্য, সেপটিক ট্যাংকের আউটলাইন এবং নির্মাণাধীন বাড়ির পেড়িমাটি সরাসরি ড্রেনে ফেলা হয়। দিনের পর দিন এভাবে চলায় ড্রেনের বেশিরভাগ অংশ ভরাট হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমের আগে কেসিসি বড় ড্রেনগুলোর পেড়িমাটি অপসারণ করে। কিন্তু গত ৬ মাসে এই ড্রেনের পেড়িমাটি অপসারণ করা হয়নি। যার কারণে ড্রেন দিয়ে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়ে পুরো ২৩নং ওয়ার্ড এলাকায়।
গতকাল সোমবার দুপুর দেড় থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নগরীতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সব এলাকায় সমান বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আবহাওয়া অফিস এটি পরিমাপ করতে পারেনি। বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে নগরীর সব এলাকার পানি অপসারণ হয়েছে। কিন্তু বিকাল সাড়ে ৪টার সময়ও পানিতে ডুবে ছিলো রয়্যাল মোড়সহ খানজাহান আলী সড়কের একটি অংশ।
নগরীর স্যার ইকবাল রোডের বাইতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকিয়া লিজা বলেন, বৃষ্টি কম হোক, আর বেশি হোক বাসার সামনে পানি জমবেই। শুধু বাসার সামনের সড়কে পানি জমলে কথা ছিলো। বাড়ির একপাশে খানজাহান আলী সড়ক, অন্যপাশে শামসুর রহমান রোড-দুটোই পানি জমে থাকে। বৃষ্টি হলেই বাড়ি থেকে বের হওয়া পুরোপুরি বন্ধ। আর বেশি বৃষ্টি হলে ওই দিন আর বের হওয়াই হয় না।
ওই এলাকায় কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সুপারভাইজার নুরুন্নাহার অ্যানি। তিনি বলেন, ২৩নং ওয়ার্ড এলাকার পুরো পানি খানজাহান আলী সড়কের পাশর্^বর্তী ড্রেন দিয়ে রূপসা নদীতে গিয়ে পড়ে। ওয়ার্ডের ড্রেনের ভাসমান ময়লা প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়। ড্রেনের পেড়িমাটি বা বর্জ্য দিয়ে ভরাট হওয়া অংশ পরিষ্কারের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আবদুল আজিজ বলেন, খুব শিগগিরই ড্রেনের মাটি উত্তোলন শুরু হবে।

Explore More Districts