দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৩মাস পরে করোনায় আক্রান্ত হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ ৫ জন 

দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৩মাস পরে করোনায় আক্রান্ত হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ ৫ জন 

আজকের গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক

টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৩মাস পর করোনায় আক্রান্ত হলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য।

মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। ডা. সুশান্ত বৈদ্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে অসুস্থতা নিয়ে গত শনিবার (৩জুলাই) ডা. সুশান্ত বৈদ্য করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন। গত সোমবার রাতে তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এছাড়াও করোনার টিকা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স মনিকা বিশ্বাস, তৃপ্তি বাগচী, সিমা বিশ্বাস ও কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী নিপা গোলদার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাওন সিকদার টুটু বলেন, করোনা ভাইরাস শুরুর পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য স্যার নিয়মিত ভাবে করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী করোনার টিকা প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। ৭ এপ্রিল তিনি দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণের ৩মাস পরে স্যার করোনায় আক্রান্ত হলেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় এ উপজেলায় ৬১জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপজেলার হিজলবাড়ি,পশ্চিমপাড়া, উনশিয়া, কুশলা, টুপুরিয়া, বলুহার , গচাপাড়া , কবরবাড়ি, বান্দল, ডহরপাড়া, নৈয়ারবাড়ি , পিঞ্জুরীসহ বিভিন্ন গ্রামের। দিন দিন এ উপজেলার গ্রামে গ্রামে করোনা সংক্রমন বেড়েই চলছে। আর এই সংক্রমন রোধে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় যাতে করোনা সংক্রম বৃদ্ধি না পায় তার জন্য আমরা কোটালীপাড়া থানার পক্ষ থেকে নানা ধরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা পিপিএম এর নির্দেশে আমার জরুরী সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদের মাঝে মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছি। করোনায় আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন সম্বলিত স্টিকার ও লাল কাপড় বেঁধে দিচ্ছি। এ ছাড়াও জনগুরুপ্তপূর্ণ এলাকায় কোন প্রকার জনসমাগম না হয় তার জন্য পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত করোনা নিয়ন্ত্রনে না আসে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা প্রতিদিন এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার ও সড়কে ভ্রাম্যমান আদালাত পরিচালনা করছি। মানুষ যাতে মাস্ক পড়ে তার জন্য জনসচেতনামূলক বিভিন্ন ধরণের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

উল্লেখ্যঃ এ পর্যন্ত এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্তর হয়েছেন ৭২৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৭৭জন ও মারা গেছেন ৩ জন।

এ জাতীয় আরো খবর..

Explore More Districts