
বিশেষ প্রতিবেদক->>
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে ফেনী জেলা হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে সুজিত কুমার দাশ নামের এক চিকিৎসককে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচ–ছয় বছর আগে তিনি চমেক থেকে চাকরি ছেড়ে দেন।
জানতে চাইলে চমেক অধ্যক্ষ শাহেনা আকতার বলেন, সুজিত দাশ আগে এখানে ছিলেন। এখন এখানে নেই। তাঁর চাকরি আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা নিশ্চিত নয়। তবে তিনি এখানে থাকেন না।
চমেক সূত্র জানায়, সুজিত কুমার দাশ চমেক নিউনেটাল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পরে তিনি সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে দেন। (সূত্র: প্রথম আলো)
প্রসঙ্গত, চট্গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) থেকে একযোগে ১৫৬ জন চিকিৎস বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১৭ ও দাগনভূঁইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জনের পদায়ন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের উপসচিব জাকিয়া পারভিনের স্বাক্ষরে এসব প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলা এবং জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের এই কর্মকর্তাদের ‘সংযুক্তিতে পদায়ন’ করা হল।
করোনাভাইরাস মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ‘চাপ সামলাতে’ সহস্রাধিক চিকিৎসককে একসঙ্গে বদলি করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
৪ ও ৫ জুলাই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অন্তত ৪৮টি আদেশে ১ হাজার ২৩৯ জন চিকিৎসককে বুধবারের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেখানে তারা কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালন করবেন।
যেসব চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মেডিকেল কলেজ থেকে একই মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে, একই জেলার জেনারেল হাসপাতাল বা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা পাশের কোনো জেলায় তাদের পাঠানো হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের এই জটিল পরিস্থিতি আর লকডাউনের মধ্যে গণবদলির কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত চিকিৎসকদের বিভিন্ন হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে।
Sharing is caring!