আশুলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আশুলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আশুলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

নাজমুল হুদা সাভার : সাভারের আশুলিয়ায় কিশোরী মেয়ে (১৩) কে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়ার সিনিয়া টেক্স কারখানার মালিক কামাল সহ ২ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর মা নিজেই বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা নং ১৮৫/২০২১।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার পল্লী বিদ্যুৎ পূর্বপাড়া এলাকার শেখ মোহন আলীর ছেলে কামাল হোসেন (৪৮) এবং আশুলিয়ার মোজাম্মেল নবীন টেক্সটাইল এলাকার আব্বাস উদ্দিন (৪০)।

জানা গেছে, ভূক্তভোগী কিশোরী আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়াবাসায় থেকে কামাল হোসেনের মালিকানাধীন একটি কারখানায় চাকুরী করে আসছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কামাল হোসেনের মালিকানাধীন একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। সেই সুবাদে পরিচয় হয় উভয়ের। একদিন বিকেলে আব্বাস নামে এক ব্যক্তির সহযোগতিায় কুপ্রস্তাব দেয় কামাল হোসেন। এতে ভুক্তভোগী রাজি না হওয়ায় কৌশলে তাকে কোমল পানির সাথে নেশা জাতীয়দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। কামালের সহযোগী আব্বাস মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধর্ষণের পুরো ঘটনা ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়াসহ কিশোরীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

এক পর্যায়ে ভোক্তভোগীর মা বিষয়টি জানতে পেয়ে তার মেয়ের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে কামালকে জিজ্ঞাসা করলে কামাল তা স্বীকার করে এবং একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। এই আশ্বাসে গেল ৭ জুন আবারো তাকে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বলেন, অফিসে কাজ শেষে আমার মেয়ে মাঝে মধ্যে বাসায় এসে অস্বাভাবিক আচরণ করত, আমি কিছু জিজ্ঞাসা করলে সে কান্না করতো, কিছু বলতে চাইতো না। গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করলে মেয়ে আমাকে সব ঘটনা খুলে বলে। সে জানায় তার অফিসের কামাল বস তাকে উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে তার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। আমার মেয়ের সাথে এই অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য আমি কামালের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।

অভিযুক্ত সিনিয়া টেক্স কারখানার মালিক কামাল হোসেনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন,এখনো মামলা হয়নি। আমার আইনজীবীর মাধ্যমে খোঁজ নিয়েছি। মামলার সিরিয়াল নাম্বারের রেফারেন্স দিলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ওইটা মামলা নয় তবে যেভাবে অভিযোগ সাজিয়েছে সেইটা কোর্ট সন্দেহ করেছে! সেজন্য আদালত ইনভেস্টিগেশন করার জন্য দিছে।

Explore More Districts